#এলার্জি দূর করার উপায়: আসসালামু আলাইকুম পাঠকবৃন্দ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। এলার্জি এক ধরনের ত্বকের রোগ। আজকে এলার্জি দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
এলার্জি হলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এলার্জি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে একজিমা, এনজিও এডা। এলার্জি হলে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, লাল ভাব, ফোড়া ও ত্বক শুকনা এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব একজন অ্যালার্জেনের সাথে পরামর্শ করুন।
এলার্জি বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকম হতে পারে। এলার্জি কারও বংশগতভাবে হয় কারও সংক্রমনের মাধ্যমে হয়। ভুলবশত এলার্জিজনিত কোনো খাবার খেলে শরীরে চুলকানি ও লাল দাগ হয়ে ফুলে যায়।
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট:
এলার্জি দূর করার উপায়
অনেকের ধুলাবালি ঠান্ডা হাওয়া থেকে অ্যালার্জি শুরু হয়ে যায়। ডাক্তারের পরামর্শ না নিলে এ এলার্জি ভবিষ্যতে ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এলার্জি থেকে অ্যাজমা হাঁপানি শ্বাসকষ্ট নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তাই আজ আমরা আলোচনা করব এলার্জি দূর করার উপায় নিয়ে। এই উপায়গুলো আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করবেন। তাহলে এলার্জি থেকে মুক্তি পাবেন।
এলার্জির চিকিৎসা
১. ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল
নিয়মিত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার চেষ্টা করুন। ঠান্ডা পানি শরীরের রক্তনালি সংকচিত করতে সাহায্য করে এর ফলে হিস্টামিন শরীর থেকে বের হতে পারে না। হিস্টামিন শরীর থেকে বের না হওয়ার কারণে এলার্জি জ্বালা ও তীব্রতা অনেকটা কম হয়। তাই ওয়াশরুমের পানি ঠান্ডা রেখে গোসল করবেন।
২. বেকিং সোডা ব্যবহার
এটা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। বেকিং সোডা এলার্জি দূর করণে অনেক সহায়তা করে। বেকিং সোডা ব্যবহার করলে ত্বকে ফুসকুড়ি দূর হয়ে যায় এবং ত্বকের ব্যথার অনুভূতি কমে যায়। তাই আধা চা চামচ বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে ভালো করে মিক্সড করে নিন তারপর যেখানে এলার্জি হয়েছে সেই স্থানে লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট থাকার পর ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন বেকিং সোডা বেশিক্ষণ যেন ওই স্থানে লাগানো না থাকে! কারণ অনেক সময় বেকিং সোডা জ্বালাপোড়া করার কারণ হতে পারে।
৩. নিম ও তুলসি পাতা ব্যবহার
ধনিয়া পাতা, নিম ও তুলসি পাতা একসাথে বেটে মিক্সড করে নিন। তারপর এলার্জিজনিত স্থানে এক ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা হয়ে গেলে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন কিন্তু সাবান ইউজ করবেন না। এভাবে এলার্জি সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।
৪. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার
এসব ব্যবহার করার চেষ্টা করুন! এটি অনেক রোগের নিরাময়ে সহায়তা করে থাকে। অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও ইনফর্মাল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে।
এ দুটি সমন্বয়ে ত্বকের যেকোনো সমস্যা নিরাময় খুব ভালো কাজ করে থাকে। তাই 1 চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, এক কাপ গরম পানি একসাথে মিশিয়ে তার ভেতর তুলা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ওই দ্রবটি এলার্জিজনিত স্থানে লাগিয়ে 20 থেকে 25 মিনিট অপেক্ষা করুন! তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
এলার্জি যতদিন না কমে দিনে দুইবার অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করার পরামর্শ থাকল।
৫. অ্যালোভেরা ব্যবহার
অনেকেই জানেন আ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক ঔষধি। অ্যালোভেরা বিভিন্ন রোগব্যাধি সরাতে সহায়তা করে। অ্যালোভেরার ভিতর রয়েছে anti-inflammatory এর বৈশিষ্ট্য ।
তাই অ্যালোভেরা ত্বকের যেকোনো রোগ নিরাময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অ্যালোভেরার গাছ থেকে অ্যালোভেরা জেল 1 চা চামচ বের করে নিন অথবা অ্যালোভেরা জেলের 1 চামচ নিয়ে এলার্জিজনিত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে দিন এবং আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
যতদিন এলার্জির তীব্রতা ও জ্বালা না কমে ততদিন দিনে তিনবার এ প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করুন। তারপর যদি এলার্জি অনেকটা কমে যায় তখন এ প্রক্রিয়াটির ব্যবহার আস্তে আস্তে কমিয়ে দিন।
৬. নারিকেল তেলের ব্যবহার বাড়িয়ে দিন
নারিকেল তেল খুবই সাধারণ একটি উপকারী জিনিস। এটি শিশু ও বয়স্ক উভয়ই ব্যবহার করা উচিত। নারকেল তেলে রয়েছে anti-inflammatory। তাই নারকেল তেল এলার্জিজনিত স্থানে নিয়মিত লাগালে এলার্জি সমস্যা অনেকটা দূর হয় এবং শুকনা চামড়া দূর হয়।
নারিকেল তেল এলার্জিজনিত স্থানে লাগানোর আগে একটু শুষ্ক করে নিন এবং দিনে তিনবার এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করুন।
৭. তুলসি পাতা ব্যবহার
তুলসি গাছ খুবই পরিচিত একটি ভেষজ ঔষধি। তুলসি গাছের রয়েছেন ব্রেড স্পেক্ট্রাল anti-inflammatory এর বৈশিষ্ট্য। তাই তোকে যেকোনো সমস্যা দূর করতে এটি খুব উপকার করে। ত্বকের চুলকানি জ্বালাপোড়া অনেকটা কমিয়ে দেয়।
কিছু তুলসি পাতা ভালো করে বেটে সমানভাবে মিক্স করুন। এবং আক্রান্ত জনিত স্থানে ভালোভাবে লেপে দিন তারপর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন! তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে 2 বার করুন, তাহলে খুব দ্রুত এলার্জি থেকে মুক্তি পাবেন।
*********
ওপরের এলার্জি দূর করার উপায় গুলো যদি যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে ইনশাল্লাহ এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক। লেখায় কোনো ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আসসালামু আলাইকুম।